মুহম্মদ জাফর ইকবাল, একবার প্রার্থনা করবেন স্যার- আমাদের অসুখটা যেন সেরে যায়

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: বুধ, ২৫/০১/২০২৩ - ১২:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুহম্মদ জাফর ইকবালকে নিয়ে
অপরাধ ও অপরাধের দায় বিষয়ক
দুটো ঘটনা-
আমরা কেমন, আমাদের সমাজটা কেমন,
তা দেখিয়ে দেয়।

কিছুদিন আগে
মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যা করার জন্য
ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এক তরুণ।
রক্তাক্ত জাফর ইকবালকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
তিনি নিজের জন্য নন,
যে তাকে হত্যা করতে এসেছিল তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে
বারবার বলছেন-
“ওকে কিছু করো না
ওর কোন দোষ নেই
ওকে ভুল বোঝানো হয়েছিল।”

আর দ্বিতীয় ঘটণাটি
তারই সম্পাদনায় ক্লাশ সেভেনের বিজ্ঞান বইয়ে
দুটো অধ্যায়ে একটি ওয়বসাইট থেকে লেখা হুবহু চুরির অভিযোগ তুলে
আমরা জাফর ইকবালের বিচার চাইছি।
বিচার চাইতেই পারি,
জাফর ইকবাল সাথে সাথেই নিজের দায় স্বীকার করেছেন।
কিন্তু শুধু দোষ স্বীকার করে দায় এড়িয়ে যাওয়া
এত বড় ভুলের বিচার হতে পারে না।
তার আরও বড় শাস্তি প্রয়োজন;
না হলে প্লেজিয়ারিজমের মতো সর্বনাশা রোগে
আমাদের শিশুরা আক্রান্ত হয়ে পড়বে।
খুবই সত্য কথা।
কিন্তু যদিও জাফর ইকবাল
নিজের গাফিলতির দায় স্বীকার করেছেন
তারপরও আপাতত একটু সময়ের জন্য
বিচার চাওয়া থামিয়ে
জাফর ইকবালের অপরাধটা আসলে কী
একটু ভাবতে পারি কি?

আমরা কি জানি
একজন সম্পাদকের কাজ কী?

প্রকাশের জন্য যে লেখাটা তাকে সম্পাদনার জন্য দেয়া হলো
লেখাটা ঠিক হলো কি না সেটা দেখা
এটাই সম্পাদকের কাজ।
ভুল হলে, যদি সেটা ঠিকঠাক করার উপযুক্ত হয়
তাহলে সেটা ঠিক করে প্রকাশের যোগ্য করে তোলা।
আর যদি সেটা প্রকাশের জন্য কোনভাবেই উপযুক্ত না হয়
তাহলে সেটি বাতিল করা।
ধরুন আপনি একটি বইয়ের একজন সম্পাদক।
বইটি পড়বে স্কুলের বাচ্চারা
যেটি পড়ে তারা বিজ্ঞানের বিভিন্ন কিছু শিখবে।
সম্পাদক হিসেবে আপনি তাদের বিষয়গুলো ঠিক করে দিয়েছেন,
কয়েকজন লেখক এই বিষয়গুলো লিখবেন।
তারা আপনার কাছে লেখাগুলো জমা দিলেন
আপনি সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে দেখলেন
সেগুলো যারা পড়বে তাদের জন্য উপযুক্ত হলো কি না।
আপনি দেখলেন, লেখাগুলো
যাদের জন্য লেখা তাদের জন্য ঠিকঠাক হয়েছে।
আপনার কাজ কী? ভাবুনতো একবার-
আপনি কি এই লেখাগুলো তিনি নিজেই লিখেছেন
না কি লেখক অন্য কোথাও থেকে লেখাটি কপি করেন নি
এটা নিশ্চিন্ত হওয়ার জন্য পৃথিবীর তাবৎ লেখা জোগাড় করে
সেগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখবেন?
কয়টি লেখা আপনি পড়বেন?
কত লক্ষ লেখা একটি বিষয়ের ওপর লেখা হয়, এর হিসেব নেই।
তার সবগুলোই আপনার পড়তে হবে
নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
কয়েকশত বছর লেগে যাবে আপনার
একটি লেখা অন্য কোথাও থেকে নেয়া হয়েছে কি না
তা বিচার করার জন্য।
অথবা আপনাকে আগে সব লেখা পড়েই যদি সম্পাদক হতে হয়
তবে জগত জুড়ে লক্ষ লক্ষ লেখা পড়ে
সম্পাদনার কাজ নেয়া আপনার পক্ষে কি সম্ভব?
অথবা অন্য কারও পক্ষে?
কারও পক্ষেই সম্ভব না।
তাহলে?
বিষয়টা খুব সোজা।
লেখকের অসততার দায় লেখকেরই।
সম্পাদকের নয়।
সম্পাদকের দায়, বিষয়টি ঠিকভাবে উপস্থাপিত না হলে
বা ভুল তথ্য থাকলে
তবেই সম্পাদকের দায়।
এই কাজটির জন্য
ড. জাফর ইকবালকে দোষারোপ করছি
কেউ কেউ অজ্ঞানতা থেকে, আর
কেউ কেউ দোষ দেয়ার আনন্দ থেকে।
দোষ খুঁজে বের করার মধ্যে একটা আনন্দ আছে।
এই অসুখটা আমাদের সবার মধ্যে
কম-বেশি গেড়ে বসেছে।
এর কারণটা সামাজিক।
আমরা কেউ একা দায়ি নই।
সমাজে আমাদের সবার মধ্যেই
নৈতিকতার একটা ঘাটতি আছে।
যেজন্য আমরা অন্যকে নৈতিকতার দোষে দোষী করতে পারলে
একটা আনন্দ পাই।
আমরা কাজ নিয়ে কথা বলি কম
ন্যায় অন্যায় নিয়ে কথা বলি তার চেয়ে অনেক বেশি।
ড. জাফর ইকবালকে নিয়ে আমরা যা করছি
তা আমাদের সেই অসুখ থেকেই।
তা না হলে,
লেখকের অসততার পেছনে
ড. জাফর ইকবালের দায় নেই
এটা বুঝতে পারতাম।
আর যদি নাও বুঝে থাকি
ড. জাফর ইকবালকে নিয়ে কথা বলার আগে
তাকে নিয়ে একটু ভাবতাম।
কাকে নিয়ে বলছি আমরা?
আমরা ভুলে যাচ্ছি
আমাদের সন্তানরা তার বই পড়ে বড় হয়।
তার কাছে স্বপ্ন দেখে।
তাকে শাস্তি দেয়ার তাড়াহুড়ো
সেই ছোটদের মনে কী প্রভাব ফেলবে
তা আমরা ভাবি নি।

হাত কাটা রবিন, মনে পড়ে আমাদের?
দীপু নাম্বার টু?
আশির দশকে
কপোট্রনিক সুখ দুঃখ পড়ে প্রথম জানতে পেরেছি
একটা যন্ত্রও মানুষ হয়ে উঠতে পারে।
সে বালকবেলার কথা।
আমরা এখন অনেক জ্ঞানী হয়েছি।
জিজিটাল হয়েছি, স্মার্ট হয়েছি।
বিচার করতে শিখেছি।
এখন বলে দিতে পারছি-
তার লেখাগুলো আসলে তার নয়।
বিদেশের বইয়ের আদলে লিখে নিজের নামে চালিয়েছেন।

এ হলো সেই অসুখ।
অসুখ আমাদের ভুলিয়ে দিয়েছে
আমাদের শৈশবে আমরা বইটাই পড়েছি।
বইটাই আমাদের জরুরি ছিল।
জাফর ইকবাল না লিখে অন্য কেউ লিখলেও কিছু যায় আসতো না।
কিন্তু, তিনি লিখেছিলেন বলেই
আমরা বইগুলো পড়তে পরেছিলাম।
আমরাতো তখন আর এখনকার মতো জ্ঞানী ছিলাম না।
বিচার করে খারিজ করে দিতে শিখিনি।
আমরা তখন নিতে পারতাম।
নিজের স্বপ্ন নিয়ে সময় কাটাতে পারতাম।
আজকের শিশু যেমন কাটায়।
জাফর ইকবালের লেখা পড়ে।
গল্প শোনে।
বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে।
আমরা অবশ্য বড় হতে পারিনি।
তাই বুঝতে ভাবতে পারি না
একটা শিশু যার কাছে পথ দেখতে শিখছে
তাকে সবার সামনে অপমান করলে
ঐ শিশু সারাজীবনের জন্য
মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে পারে।
আমরা যেহেতু বুড়ো হয়েছি।
মনের অসুখে ধরেছে
আমরা আর বড় হবো না
তাই শিশুরা যে বড় হচ্ছে
তার বইটা দরকার, শিক্ষকটা দরকার, আদর্শটা দরকার
ভুলে গেছি সব।
তাই শিশুর সামনে গালি দেই, মিথ্যা বলি।
বাসায় কোন বই নেই এখন।
ভুলে গেছি
বই চিন্তা করতে শেখায়, কল্পনা তৈরি করে
ভাষা গড়ে।
তাই আমাদের বাসায় বই থাকে না।
যে ঘর বানিয়েছি
জাফর ইকবালদের দরকার নেই সেখানে।
সেই অসুখ।
মনে পড়ে অনেক আগে;

ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে বহে কি বা মৃদু বায়,
পুরানো সেই দিনের কথা-
এই গান দুটি পশ্চিমা কথা আর সুরে যেদিন শুনেছিলাম প্রথম
দারুণ সোল্লাসে আমাদের কেউ কেউ বলে উঠেছিলাম
দেখেছিস, রবীন্দ্রনাথও চুরি করে রবীন্দ্রনাথ হয়েছে।
চোরের থেকে কি কিছু শেখা যায়?
রবীন্দ্রনাথ থেকে কিছু শেখা হলো না।
শেখা হলো না নজরুল থেকেও।
হুইটম্যানের ‘সং অব মাইসেলফ’ থেকে নজরুল যে কপি করে
বিদ্রোহী রচনা করেছিলেন
সেও আমাদের কেউ কেউ জানিয়ে দিয়েছে।
এই এক অসুখ আমাদের।
চোখ যায়
খারাপের দিকে।

তার মানে কি কেউ ভুল করলে
আমরা বলবো না? চোখ বন্ধ করে থাকবো?
বলবো।
কিন্তু কীভাবে বলবো?
এটা ভুলে গেলে চলবে না
আমাদের ভাষাই
আমাদের কাছে ফিরে আসে।
আমাদের সন্তানরা
আমাদের কাছ থেকেই শেখে।
তারা যেন আমাদের কাছ থেকে শিখতে পারে
যার অনেক অনেক গুণ, তারও কিছুটা দোষ থাকতে পারে।
একটা দোষের কারণে তার অন্য যা ঠিক, তা ভুল হয়ে যায় না।
আবার অনেক ভুল করার পরেও
সেই মানুষটার মধ্যে কোন ঠিক থাকতে পারে।
ছোটবেলায় আমরা পড়েছি
অপরাধকে ঘৃণা করো
অপরাধীকে নয়।
আমরা বাল্যশিক্ষা ভুলে গেছি।
তাই এই অসুখ।
এই অসুখ থেকে বাঁচার উপায়
জ্ঞান-বুদ্ধি নয়, বোধ।
সাধারণ বোধ।
Common sense
ওটা থাকলে আমরা ঠিকই বুঝতে পারবো
কারও ভুল হলে
সেই ভুলটা কীভাবে দূর করা যায়
এই ভাবনা থেকে সকল কথাই
বলা যায়।

ড. জাফর ইকবালকে আসলে
অনেক কথাই বলার ছিল।
সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বই- যেটা নিয়ে এত প্রশ্ন
তার দুটো অনুচ্ছেদ নিয়ে এত তোলপাড়
বইটা হাতে নিয়ে মনে হয়েছে
ড. জাফর ইকবাল স্যার কাজটা আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে করতে পারতেন।
বইটিতে বই পড়ে শেখার চেয়ে করে শেখাকে জোর দেয়া হয়েছে।
খুব ভাল চেষ্টা।
কিন্তু কোন কিছু করে দেখতে গেলেও
যে বিষয়ের ওপর যে মৌলিক ধারণাগুলো সরলভাবে জানা দরকার
সেগুলো পরিষ্কার করে দেয়া হয় নি।
ফলে করে দেখার জন্য যা বলা হচ্ছে
তা কীভাবে করবো-
শিক্ষকের-ছাত্র কেউ বুঝতে পারছে না।
এরকম অবস্থায় একটা ভয় হতেই পারে
শিক্ষক আর ছাত্ররা হয়তো
কিছুই শিখবে না।
ড. জাফর ইকবালের স্যারের কাছে আমরা বলতেই পারি
স্যার, আপনি ছিলেন-
বইটা আরও অনেক ভাল হতে পারতো।
আমি সত্যি একটু হতাশই।
আমরা তাকে বলতেই পারি;
স্যার আপনি যেখানে আছেন
সেখানে এমন বইটা মানায় না।
আরও অনেক অনেক ভাল হওয়া উচিৎ ছিল।
বিষয়টা যেভাবে যে ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে;
স্যার, আপনার আরেকটু মনযোগ দাবি করে কাজটা।

স্যার,
যে আপনাকে হত্যার জন্য ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে
তার দোষ যেমন নিজের কাঁধে নিয়েছেন
আপনার লেখক ও সামাজিক সত্তাকে হত্যা করার জন্য
আমাদের এই প্রতিহিংসাময় সেই অবুঝ অবোধ মনের সকল পাপ
নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে
ক্ষমা করে দেবেন জানি
তবে একটা অনুরোধ আছে আপনার কাছে।
একবার প্রার্থনা করবেন স্যার আমাদের জন্য-
আমাদের অসুখটা যেন সেরে যায়।


মন্তব্য

Glydelia এর ছবি

এ অসুখ সারা বড় সহজ নয়। আমরা অ্যাপেথেটিক স্যাডিস্টিক, শুধু ড জাফর ইকবাল কেন, আমাদের কয়দিন পর পর কাউকে না কাউকে শিকার হিসেবে লাগতই। তুমুল গুপ্তহতাশা লুপ্তস্বপ্ন সুপ্তপ্রতিহিংসা আমাদেরর রন্ধ্রে জাগিয়ে টগবগ করতে করতে করতে করতে আমরা বৈরী-বিষাদের একেকটা শবাধারে শুয়ে থাকি। এক সময় ক্ষুধার্ত হলে সুযোগ বুঝে সেই শবাধার থেকে বেরোই শিকারের সন্ধানে, শিকার পেলে ইন্টেনশনালি অ্যান্টাগোনাইজ করতে করতে করতে করতে ক্লান্ত হলে আবার সেই শবাধারে ফেরত চলে যাই, আবার বেরোই, শিকার ধরি, আবার ফেরত যাই। এইতো।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

লেখার স্টাইল পছন্দ হয়েছে। কনটেন্ট নিয়ে বলার কিছু নাই। ভাগ্যিস মুহম্মদ জাফর ইকবাল ছিলেন, নয়তো সব অপরাধের জন্য আমরা কাকে দোষারোপ করতাম!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কর্ণজয় এর ছবি

একজন যিশুর প্রয়োজন হয়; এই সমাজে
সকলের পাপকে যিনি নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে
আমাদের নিষ্পাপ করে তুলবেন।।

Mst.Akita এর ছবি

সুন্দর হয়েছে

তামান্না ঝুমু এর ছবি

প্রার্থনা করি, আমাদের অসুখ যেন সেরে যায়।

- তামান্না ঝুমু

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এ অসুখ এখন প্রান্তিক পর্যায়ে চলে গেছে। সারবে, এমন miracle আশাও করি না।
যা-ই হোক, উপরে ষষ্ঠ পাণ্ডব'দার কথাটারই প্রতিধ্বনি করি, "ভাগ্যিস মুহম্মদ জাফর ইকবাল ছিলেন, নয়তো সব অপরাধের জন্য আমরা কাকে দোষারোপ করতাম!"

সৌখিন  এর ছবি

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল যদি গৎবাধা উত্তর দিতেন তাহলেই ভালো হতো। যেমন - "আমি বিজ্ঞান বইয়ের লেখক ছিলাম না, আমি সম্পাদক, আমি ফাইনালি চেক করি, যিনি লেখক ছিলেন তিনি ভালোই জানেন প্লাজিয়ারিজম করা যাবেনা, তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। The end"

সেটা না বলে - "আমি লেখক না হলেও আমি লজ্জিত, আমি বিব্রত " এইসব বিনয়ী/সৎ বক্তব্য বাংলাদেশের মানুষ ডিজার্ভ-ই করেনা।

Ru এর ছবি

প্রচলিত ধারণার বাইরে একটা কথা বলছেন তো আপনি দূর্বল। এক বিচিত্র অন্ধকার বুকে পুষে রাখা খাবিখাওয়া মুল্লুকে বিনয়ী মানুষদের লুকিয়ে থাকতে হয়।

মেঘলা মানুষ  এর ছবি

লেখাটা সম্ভবত লাইফ সায়েন্সের, আর ঐ বইতে আরেক সম্পাদক ছিলেন। তিনি সম্ভবত লাইফ সায়েন্সের। একটা বইতে একাধিক ধরণের বিষয় থাকলে প্রত্যেক সম্পাদক তার দিকটা বেশি দেখার কথা। (ব্যাপারটা দায়মুক্তির সাফাই না)। কিন্তু এই ব্যাপারটা বেশ ধামাচাপা পড়ে আছে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কিন্তু কোন কিছু করে দেখতে গেলেও
যে বিষয়ের ওপর যে মৌলিক ধারণাগুলো সরলভাবে জানা দরকার
সেগুলো পরিষ্কার করে দেয়া হয় নি।
ফলে করে দেখার জন্য যা বলা হচ্ছে
তা কীভাবে করবো-
শিক্ষকের-ছাত্র কেউ বুঝতে পারছে না।
এরকম অবস্থায় একটা ভয় হতেই পারে
শিক্ষক আর ছাত্ররা হয়তো
কিছুই শিখবে না।

বই মোট তিনটা, এবং সেগুলো পরিপূরক।
আপনি কি তিনটা বইই পড়ে দেখেছেন?
যেকোনো একটি দেখলে হস্তীদর্শনের আশংকা আছে।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।