খুমজুং গ্রাম ও ইয়েতির ব্রহ্মতালু!

ওডিন এর ছবি
লিখেছেন ওডিন (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০৮/২০২২ - ১০:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ট্রেকে প্রায় সবাই যে কাজটা করে তা হলো উচ্চতাজনিত অসুস্থতা এড়ানোর জন্য অত্র এলাকার সবচে বড় গ্রাম/মিনি-শহর নামচে বাজারে দুটো রাত থাকা। এই মে মাসের এক বৃষ্টিভেজা বিকেলে ভেজা কাপড় চোপড় আর গাট্টি বোঁচকা নিয়ে কাঁপতে কাঁপতে যখন আমরা সাড়ে তিন হাজার মিটার উঁচুতে নামচে বাজার পৌঁছলাম, তখনো পর্যন্ত আমাদের পরিকল্পনা ছিল সেখানেই দু রাত থাকার। পরের দিন সকালে আমরা হয় খুমজুং গ্রাম অথবা এভারেস্ট ভিউ হোটেল, এ দুটোর যে কোন একটা এক্লামাটাইজেশন হাইক করবো, নেমে এসে নামচেতেই থাকবো এবং পরের দিন থিয়াংবোচের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো।

কিন্তু পরদিন সকালে ব্রেকফাস্ট-মিটিং এ ঠিক করা হলো আমরা সেইদিনই নামচের সামান্য উঁচুতে খুমজুং গ্রামে হাইক করে গিয়ে রাতে সেখানেই থেকে যাবো। এটাতে আমাদের এক্লামাইটেজেশন-ও হবে, আর থিয়াংবোচের পথে সামান্য এগিয়ে থাকাও হবে।

ট্রেকের প্রথম দুইদিন, লুকলা থেকে ফাকদিং ও ফাকদিং থেকে নামচে বাজার, বৃষ্টিতে প্রায় ভেসে গিয়েছিলো। আজকের দিন পুরোই আলাদা। ঝলমলে রোদের দিন, পরিষ্কার বাতাসে নামচের আশেপাশের তুষারধবল শৃঙ্গগুলো একেবারে চকচক করছে। চমৎকার পথ ধরে খুবই হাল্কা চালে হাইক করে সিয়াংবোচে পেরিয়ে দুপুরের ঠিক পরপরই আমরা ৩৭৯০ মিটার উচ্চতার খুমজুং গ্রামে পৌঁছে গেলাম।


ছবি- নামচে বাজার থেকে সিয়াংবোচে হয়ে খুমজুং ওঠার পথে


ছবি - খুমজুং গ্রাম

এই অঞ্চলএর দ্বিতীয় বড় গ্রাম হচ্ছে খুমজুং। ঠিক পাশের গ্রাম কুন্দে, একটু দূরের থ্যাংবোচে, প্যাংবোচে, ফেরিচে ও ডিংবোচে গ্রামগুলোর স্থানীয় সরকার এই খুনজুম গ্রাম থেকেই পরিচালিত হয়। এইখানে ১৯৬১ সালে স্যার এডমন্ড হিলারির করা স্কুল আর পাশের কুন্দে গ্রামে ১৯৬৬ সালে ওঁর করা হাসপাতাল রয়েছে।

তবে খুমজুং-এ আমি এসেছি এইখানকার অতি প্রাচীন মনাস্টেরি দেখতে, বিশেষ করে এই মনাস্টেরিতে রাখা ইয়েতির খুলি দেখার জন্য।


ছবি- খুমজুং মনাস্টেরি

খুমজুং মনাস্টেরি বা সামতেন চোলিন গোম্পা এই সোলো-খুম্বু অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম মনাস্টেরি। এখনকার দালানের কাঠামোটা এগারো শতকে গড়া, কয়েকটা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বার বার নির্মানের মধ্য দিয়ে গেছে। টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকতে হলো। ভুটান, নেপাল, সিকিম, হিমাচল আর লাদাখে অনেক তিব্বতি মঠ দেখার সুযোগ হয়েছে। তিব্বতি মনাস্টেরিগুলো সাধারণভাবেই খুবই রাজকীয় আর ঝলমলে হয়। নানারকম থাঙ্কা, তিব্বতি পেইন্টিংস আর মূর্তিতে ঠাসা। তবে প্রায় চার হাজার মিটার ওপরে হিমালয়ের গহীনে এই মঠে এত 'গ্রান্ড' ব্যপারস্যাপার আশা করি নাই। তাই ভেতরে ঢুকে বেশ অবাক হলাম।


ছবি- মনাস্টেরির চত্বর

প্রচুর থাঙ্কা, পেইন্টিংস আর মূর্তিতে ভরা মূল মন্দিরটা বেশ জমজমাট, অন্যসব তিব্বতি মঠের মতই। কেন্দ্রে অতিঅবশ্যই গুরু পদ্মসম্ভব, যিনি পুরো হিমালয়েই ভয়ঙ্কর শ্রদ্ধার সাথে পূজিত হন। কিংবদন্তী আছে যে হিমালয়ের অধিকাংশ মনাস্টেরির মত এই খুমজুং মনাস্টেরিও নাকি ওনারই স্থাপন করা, যথারীতি এক লোকাল অপদেবতাকে শায়েস্তা করে ধর্মের ধ্বজা উড়িয়ে উনি এই কাজ করেছিলন। বাকি সব জায়গাতেও একই ধাঁচের কিংবদন্তী চলমান।


ছবি- মঠের ভেতরে


গুরু পদ্মসম্ভব

তবে আমি তো এসেছি অন্য ব্যপারের খোঁজে। আর সেই জিনিস শুনেছি তালাচাবি দেয়া থাকে, খুব জোর অনুরোধ করে রীতিমতো দরখাস্ত লিখে সেইটা দেখতে হয়। তবে আমার ভাগ্য ভালো, একটু দুরেই দেখি আমার সেই আরাধ্য বস্তু একটা কাঁচের বাক্সে রাখা আছে। তথাকথিত ইয়েতির তথাকথিত খুলি।


ছবি- ইয়েতিঠাকুরের চাঁদি

এইবার একটু ইতিহাস/পাতিহাঁস হোক। এই বস্তু স্যার এডমন্ড হিলারি ১৯৬০ সালে এই গ্রামেই আবিষ্কার করেন। ওইসময় উনি এই অঞ্চলে সাসপেনশন ব্রিজ, স্কুল, হাসপাতাল, হেলিপ্যাড বানানোর সাথে সাথে লোকাল মিথ ইয়েতি নিয়েও অনুসন্ধান করছিলেন। ওইসময় খুমজুং এর এক ভদ্রমহিলার বাড়িতে এই ইয়েতির Scalp এর সন্ধান পান। ভদ্রমহিলা প্রথমে তার এই পারিবারিক সম্পদ হাতছাড়া করতে চাননি। ওনার এক পূর্বপুরুষ নাকি এক ইয়েতির উতপাতে চরম বিরক্ত হয়ে এক গামলা ভর্তি ছাঙ এর টোপ ফেলে, সেই ছাঙ খেয়ে ইয়েতি বেটা মাতাল হবার পরে তার খুলি (!) কেটে নেন। সেই খুলি (!) বংশপরম্পরায় ভদ্রমহিলার বাড়িতে ছিলো। স্যার হিলারি অনেক কায়দাকানুন করে ভদ্রমহিলাকে এই বস্তু খুমজুং মঠে লামাদের তত্বাবধানে রাখতে রাজি করান। এরপর থেকে একবার বিলেতভ্রমণ ছাড়া এই ইয়েতিঠাকুরের চাঁদি এই মঠেই বিরাজমান আছে।

সেই বিলেতভ্রমণে অবশ্য পাপিষ্ঠ নাস্তিক বিজ্ঞানীরা বের করেছেন যে ইয়েতিঠাকুরের চাঁদি আসলে তিব্বতি এন্টিলোপ আর ছাগলের চামড়া দিয়ে তৈরী করা একটা লোমশ টুপিটাইপের বস্তু, কিন্তু এই কথা খুমজুং গ্রামের শেরপাদের বলার মত সাহস আর যারই থাক, আমার অন্তত নাই। নিজের চকচকে চাঁদির মায়াও তো করতে হবে, নাকি?


ছবি- ইয়েতিঠাকুরের পটচিত্র


ছবি- প্রাচীণ পুঁথির ভাণ্ডার / লাইব্রেরী

তবে ঠাট্টা করা বাদ দিলে, এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে করা আমার এই ট্রেক এর একটা অতি অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিলো এই খুমজুং গ্রামটা। শেরপা সংস্কৃতির মূল ভাবটা নিতে চাইলে সাধারণ ট্রেকিং ট্রেইলের বাইরে এই গ্রামে অন্ততপক্ষে একটা পুরো দিন কাটানো উচিত বলে আমি মনে করি। যদি কখনো আবার এই ট্রেইলে ফিরে যাই, খুমজুং গ্রাম, আর তার পাশের গ্রাম কুন্দে, এ দুটো জায়গায় দুটো বিকেল আর সন্ধে কাটাতেই হবে। দিগন্তজোড়া হিমালয়, হাসিখুশী শেরপাদের উত্তাল গান আর বনফায়ার। চাঁদনী রাত হলে তো আর কথাই নেই। কে জানে, হয়তো ছাঙপ্রেমিক ইয়েতিঠাকুরের দেখা মিলেও যেতে পারে।

____________________________________________________
ক- ইয়েতির এই মুন্ডু নিয়ে পড়ালেখা করতে চাইলে এইখানে ঢুঁ দিতে পারেন
খ- সবগুলো ছবি ফোনে তোলা
গ- ব্লগ লেখা (!) হয়েছে গুগল ভয়েস টাইপিং এ।
জয় বাবা গুগলনাথের জয়!

__________________________________________________________

মার্ভেল সিনেমার মত কিছু পোস্ট ক্রেডিট কনটেন্ট


ছবি- পরেরদিন সকালে ট্রেক শুরুর আগে ঝলমলে খুমজুং গ্রাম আর খুম্বি-লা পর্বত (5,761 মি)


ছবি- আমাদের লজের হাসিখুশি মালকিন


ছবি- খুমজুং ছেড়ে যাওয়ার পথে মাউন্ট আমা ধাবলাম ও একজন ভবিষ্যত এভারেস্টিয়ার


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

মঠ কর্তৃপক্ষ ইয়েতির খুলির ঝাঁপিটার পাশে আরেক ঝাঁপিতে নিতান্ত হেলাফেলা করে দশ-বারোটা মনুষ্যখুলি রেখে দিতে পারে। সেটার নিচে লেখা থাকবে, "ইয়েতির খুলিকে যারা ইয়েতির খুলি বলে মানে না, তাদের খুলি"।

ওডিন এর ছবি

ওনাদের এই আইডিয়াটা ইমেল করে দিতে হবে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়েতির অভিশাপে একটা ছবিও দেখতে পাচ্ছি না! ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ওডিন এর ছবি

লোড হতে সময় নিচ্ছে মনে হয়। মোবাইল ফোনে ব্লগিং এ আমাকে আরও সড়গড় হতে হবে।

খেকশিয়াল এর ছবি

কমরেড, ইয়েতিহন্তক ঠাকুর্দার একখান ফটুও দিতে পারে, হাচামিছা যাই হোক। ছবিগুলা যেগুলো এখানে দিছো আমি দেখতে পারতাছি না। বুঝতে পারতাছি না আমার ব্রাউজারের সমস্যা নাকি। লেখা ভাল্লাগছে, সময় কইরা পুরাটাই লেখো পারলে।

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ওডিন এর ছবি

imgur এ দেয়া ত, তাই লোড হইতে একটু টাইম নিতাছে মনে হয়। ফোন থেকে সরাসরি দেয়া, ছবি ছোট করে নেয়ার দরকার ছিলো।

ফুটনোটে দেয়া লিঙ্কটা দেইখো। ইন্টারেস্টিং সব তথ্য পাইবা।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

মোবাইল, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ - তিনটা দিয়ে গতকাল থেকে চেষ্টা করে এখনো একটা ছবিও দেখতে পাইনি। পোস্টটা তিব্বতী কালাজাদুর পাল্লায় পড়লো কিনা কে জানে! বিরাট পেটওয়ালা একটা তিব্বতী ভূত আছে। ছবিগুলো সেও খেয়ে নিতে পারে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সবজান্তা এর ছবি

আমি শুরু থেকেই দেখতে পাচ্ছি। সম্ভবত দেশের কিছু প্রোভাইডার ইমগুর ব্লক করে রাখছে।

ওডিন এর ছবি

দেশে কিছু কিছু আইএসপি মনে হয় আসলেই এই কাজ করেছে। আমার ডট ইন্টারনেটে দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণ-ফোরজিতেও। কিন্তু হাসপাতালের নেট থেকে আবার ছবি দেখা যাচ্ছে না।

সবজান্তা এর ছবি

ইয়েতির মুণ্ডু কিন্তু দেখতে খুবই বিশ্বাসযোগ্য। বিজ্ঞান টিজ্ঞান দিয়ে জগতের সকল রহস্য, ফান নষ্ট করে করেই আমরা আজকের এই নিরস পৃথিবীতে পৌছে গেছি।

গোম্ফার নাম হিসেবে সামতেন চোলিং মনে হয় বেশ পপুলার- যদি স্মৃতি প্রতারণা না করে দার্জিলিং এর ঘুমে যে গোম্ফাটা আছে, তার নামও সামতেন চোলিং। কে জানে এইটা গোম্ফাদের “কুশীলব” কিনা।

ওডিন এর ছবি

এইজন্যই তো কবি বলেছেন যে পাষণ্ড বিজ্ঞান দিয়াছে বেগ, কাইড়া লইছে আবেগ। হারামি একটা।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কালোজাদুর প্রভাবে আমি একটা ছবিও দেখতে পাচ্ছি না। তবে এই ছবিগুলো যদি ফেসবুকে দেয়া থাকে তাহলে দেখা হয়ে গেছে। আপনাদের এই ভ্রমণের প্রায় সবটুকু সময় আমিও সাথে সাথে চলেছি। আমরা সপরিবারে প্রতিদিন ফলো করতাম আজকে আপনারা কোন পর্বত ডিঙ্গিয়েছেন। কোন নদী পার হয়েছেন। নিজে যোগ দেয়া সম্ভব না হলেও এটা খুব উপভোগ্য একটা ভার্চুয়াল ভ্রমণ ছিল। আপনাদের ঘন্টায় ঘন্টায় আপডেটগুলো আমাদের প্রচুর আনন্দ যুগিয়েছে। প্রতিটি ছবি গোগ্রাসে গিলেছি। এই বিবরণগুলো দিয়ে চমৎকার একটা ভ্রমণ পুস্তক হোক।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ওডিন এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ নীড়দা। এই যান্ত্রিক গোলোযোগের কারণ বের করা গেছে। দেশের অনেক আইএসপিতে imgur ব্লকড। পরেরবার অন্য কোনো ইমেজ হোস্টিং সাইট ব্যবহার করতে হবে।

পাপিষ্ঠবৃন্দ পীরবাবা ও তারেকাণুর সাথে আমারও আপনার এলাকায় আসার কথা ছিলো, কিন্তু কাজের চাপে পারলাম না। দারুণ সব আড্ডা আর আলাপ মিস করলাম। এই দুঃখ আপনার সাথে দুদণ্ড আলাপ না করা পর্যন্ত আর যাচ্ছে না৷

রায়হান আবীর এর ছবি

অতীব চমৎকার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা। পড়তে পড়তে আমি নিজেই ঘুরে এলাম খুমজুং। একদিন সত্যি সত্যি জ্যোৎস্না রাতে প্রয়াত ইয়েতি ঠাকুরের মত ছাং খেয়ে পড়ে থাকবো। প্রয়োজনে হেলমেট পরে নিব।

ওডিন এর ছবি

এইরকম প্ল্যান করা হলে আওয়াজ দিও। দুই ভাইয়ে একলগে ইয়েতিঠাকুর দেখতে যামুনে!

নৈ ছৈ এর ছবি

ভবিষ্যৎ এভারেস্টিয়ার ছবিটা অপার্থিব সুন্দর!

ওডিন এর ছবি

পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ! এই গ্রাম থেকে আসলেই অনেক এভারেস্টিয়ার এসেছেন!

সামনে গনগনে সূর্য রেখে তোলা নিয়ে নিশ্চিত ছিলাম না যে কেমন হলো। পরে দেখি ভালই এসেছে।

হাসিব এর ছবি
  • শীত আসলে কীরকম? মাইনাস কতো পর্যন্ত ছিলো?
  • প্রথম ভাবলাম বলি জায়গাগুলোর নাম ইংরেজিতে ব্রাকেটবন্দি করে জুড়ে দিতে। পরে ভেবে দেখলাম এতে লেখার সৌন্দর্য নষ্ট হবে। পরের বার লেখার শেষে ইংরেজি নামগুলো জুড়ে দেবেন। ইংরেজি বানানটা জানা থাকলে নিজে গুগল করতে সুবিধা হয়।
  • মঠ মঠে থাকলেই ভালো হতো। মনেরস্টোরিতে না যাক। মঠকে ওরা কী বলে?
ওডিন এর ছবি

ওইরকম চিন্তা করলে শীত বেশি না, কিন্তু এলটিচিউড আর বাতাসের জন্য আমাদের সমতলবাসীদের সহ্যের বাইরে থাকে বেশিরভাগ সময়েই। কষ্ট আপেক্ষিক, আরকি। ট্রেইলের অধিকাংশ এলাকায় রাতের বেলা রাতের বেলা মাইনাস চার পাঁচ, ওপরে একদিন সাতে নেমেছিলো। আর আপনার পরামর্শটা চমৎকার। জায়গাগুলোর নাম আসলেই ইংরিজিতে লিখে দেয়া উচিত, অন্ততপক্ষে ফুটনোটে

মঠ/মনাস্টেরিকে ওরা বলে গোমপা/গোমফা, যেইটা আসলে অনুবাদে ঠিক মঠ বা মনাস্টেরির মত আসে না। হিমালয় অঞ্চলে গোমপা আসলে একাধারে মন্দির,সাধুদের আবাস, স্কুল,কমিউনিটি সেন্টার, লোকাল গভর্নমেন্টের আপিস, স্টোররুম, শীতের আশ্রয় ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে শুধু তপস্যা বা ধর্মকর্মের জন্যও আলাদা আলাদা ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান থাকে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।