যাযাবর জীবনের গল্প (শেষ পর্ব) – জ্যুরিখ থেকে মিউনিখে পদার্পণ

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: সোম, ০১/০৬/২০০৯ - ২:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুলত পাঠকের আঁকা ছবিমুলত পাঠকের আঁকা ছবিজুরিখ থেকে জার্মানীর সীমান্ত এক ঘন্টার পথ।যখন সীমান্তে এসে ট্রেণটি থামলো, ইমিগ্রেশনের একগাদা লোক উঠলো বগিতে। এতোটা কড়াকড়ি কোথাও দেখিনি। এক অফিসার এসে দাঁড়াতেই নিজেকে ট্যুরিষ্ট বলে পরিচয় দিয়ে পাসপোর্টটি দেখালাম। বাংলাদেশের পাসপোর্টটি দেখেই কুঁচকে উঠলো ভুরু। ডেকে এনে আরেকজনকে দেখালো। দু’জনে কি বলাবলি করলো, কে জানে! পকেটে টাকা আছে কিনা জানতে চাইলে নয়শো পাউন্ড দেখিয়ে দিলাম। তাতে কি সন্তুষ্ট হলো কি গোমড়ামুখো আফিসারের মুখ! জানিনা! তবে খটাশ করে এনট্রি সিল পড়লো পাসপোর্টে। আমিও আপাতত হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। সামনে কি আছে কে জানে! সীমান্ত থেকে ট্রেণ ছাড়ার পর শাড়ী পরিহিতা বেশ বয়েসী এক ভারতীয় মহিলার সাথে আলাপ হলো। কোন এক সমাজবিজ্ঞানের সেমিনারে এসেছেন জার্মানীতে। এখানেই পড়াশোনা শেষ করে ফিরে গিয়েছিলেন দেশে। বেশ আলাপ জমলো। আমার পুরো পথের বিবরণ খুটিয়ে খুটিয়ে শুনলেন। আমিও তাঁর কথা শুনতে শুনতে শুরু হবার আগেই এখানকার পর্ব শেষ করে দেশে যাবার স্বপ্নে বিভোর হয়ে গেলাম।

সন্ধ্যার একটু আগে এসে নামলাম মিউনিখ ষ্টেশনে। দুরু দুরু কেঁপে উঠলো বুক। জাহাজে উঠেও এতোটা কাঁপেনি। বাংলাদেশের পত্রিকায় বাহাত্তুরের অলিম্পিকের ছবি দেখার পর থেকেই এই শহরের প্রতি দূর্বলতা আমার। যদিও সে সময় খোলোয়াড় আর সন্ত্রাসীদের রক্তে লাল হয়ে ছিল মিউনিখের মাটি- সেখানকার অলিম্পিক গ্রাম, সে টান কমেনি একেবারেই। বিশাল ষ্টেশন, তবে জুরিখের তুলনায় একটু নোংরা বলে মনে হলো। এবার রাতের আবাস দরকার! সেই ভারতীয় মহিলা ষ্টেশনের কাছেই একটি সস্তা হোটেলের ঠিকানা জানেন। আমাকে নিয়ে গেলেন সেখানে। বিনিময়ে তাঁর স্যুটকেসটি টেনে সাহায্য করতে হলো। স্যুটকেসটি তার ঘরে রেখে নিজের ঘরে ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়েই বেরিয়ে পড়লাম আবার। লোকজনের খোঁজখবর নিতে হবে। বাঙ্গালী কাউকে পাই কি না, সেটিও দেখতে হবে। মিউনিখে তখন গ্রীস্মের আনন্দ। ষ্টেশনের পাশেই রেস্টুরেন্টের সামনে খোলা আকাশের নীচে টেবিল বিছিয়ে বিয়ারের গ্লাস সামনে করে বসে আছে নারীপুরুষ। লোভ আর ক্লান্তি মিলে মিশে আচ্ছন্ন করে ফেললো আমাকে। একটি খালি টেবিল পেয়ে বসে পড়লাম নিজেও। ওয়েটারকে বলতেই এক গ্লাস বিয়ার এসে রাখলো সামনে। আমিও তুপ্তির এক চুমুক দিলাম গ্লাসে। একটু পরেই দেখি, সেই ভারতীয় মহিলা হেঁটে আসছেন ফুটপাথ বেয়ে। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলাম। বিয়ারের গ্লাস নিয়ে বসে থাকতে দেখেই অপ্রসন্ন হয়ে গেলো তার চেহারা। মুখ ঘুরিয়ে চলে গেলেন অন্যদিকে। সমাজবিজ্ঞানী বলেই হয়তো, কে জানে!

বিয়ার শেষ করে এগিয়ে গেলাম স্টেশন ছাড়িয়ে আরেকটু সামনে। দুপাশে নানা ধরনের দোকানপাট। মনে হলো তুর্কিদেরই হবে। এখানে যে প্রচুর তুর্কীদের বাস, সে কথাও শুনেছি আগেই। একটি সিনেমা হলে বাইরের ছবি দেখে বুঝলাম, পর্ণো ছবি চলছে ভেতরে। ইউরোপীয়ান রেলষ্টেশনগুলোর আশেপাশে এমনই হয়। আরেকটু এগিয়ে গিয়ে দেখি চলন্ত সিড়ি নেমে গেছে মাটির নীচে। অনেকেই নামছে নীচে। আমিও নামলাম। দেখি নীচে বিরাট প্রশস্ত হলঘরের মতো আলোকিত এক জায়গা। সেখানেও নানাভাবে সাজানো অনেক দোকানপাট। সেখান থেকেও থেকে সিড়ি নেমে গেছে আরো নীচে। আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেণ লাইন সেখানেই। নীচে নামলাম না আর। মিউনিখের টাউন হলমিউনিখের টাউন হলদেখলাম এসবের মাঝেই নীচে নামার সিড়ির একটু সামনে মেঝেতে বিছিয়ে পত্রিকা বিক্রি করছে একজন। দেখে মনে হলো এশিয়ান, আমাদের এলাকারই কেউ একজন। এগিয়ে গেলাম তার কাছে। নিজের পরিচয় দিয়ে বললাম যে, আমি এখানে পড়াশোনা করতে এসেছি। বাংলাদেশী কাউকে চেনেন কি না, সেটাও জানতে চাইলাম। ভদ্রলোকের নাম মুনীর। পাকিস্তানের। জানালেন, একজন বাংলাদেশীকে চেনেন। ওনার মতোই পত্রিকা বিক্রি করেন। কাল দেখা করিয়ে দেবেন। আমার থাকার ব্যাপারেও অন্য এক পাকিস্তানীর সাথে ব্যাবস্থা করে দিতে পারবেন বলে আশ্বাস দিলেন। খাওয়া দাওয়া করেছি কিনা, সেটা জেনে পত্রিকা বিক্রির ভার কিছু সময়ের জন্যে অন্য একজনের হাতে দিয়ে আমাকে নিয়ে চললেন রেষ্টুরেন্টে। ফাস্টফুড চক্র ‘ম্যাকডোনাল্ড’ এর সাথে সে সন্ধ্যাতেই আমার প্রথম পরিচয়।পাকিস্তানী হয়েও এই মুনীর ভাই এখানকার জীবনের শুরুতে অনেক সাহায্য করেছেন আমাকে। আরেক পাকিস্তানী, হাবিব ভাইয়ের সাথে পরে পরিচিত হয়েছিলাম। জার্মান ভাষাকোর্স শেষ করে যখন ইউনিভার্সিতে ক্লাশ শুরু করলাম, ওনি আর ওনার স্ত্রী মিলে সে উপলক্ষে বিশাল এক পার্টির আয়োজন করেছিলেন।

পরদিনই হোটেল ছেড়ে উঙ্গারার স্ট্রাসের সেই পাকিস্তানীর বাড়ীতে উঠলাম। ভদ্রলোক দুরের এক শহরে কাজ করেন। সপ্তাহান্তে এখানে আসেন। বাকী সময়টা আমি একা। খাবার দাবারের বিষয়টাও নিজের হাতে তুলে নেয়া দরকার। দোকানে ঘুরে ঘুরে কিছু মশলা পেলাম। দেখতে অনেক আমাদের দেশের মশলার মতো হলেও স্বাদে অনেকটাই আলাদা। টকটকে লাল রঙের মরিচের গুড়োতে ঝাল একেবারেই নেই। অনেকটা মিষ্টি বলেই মনে হলো। তারপরও নিজের হাতের রান্না রসনায় অমৃতের মতোই লাগলো।

আরেক আন্ডারগ্রাউন্ড ষ্টেশনে পত্রিকা বিক্রির সময় খোকনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন মুনীর। খোকন, যার ভালো নাম মাকবুল হোসেনও এখানে অফসেট প্রিন্টিং নিয়ে পড়াশোনা করবেন বলে জার্মান শিখছেন।। পত্রিকা বিক্রির কাজ সে খরচ চালানোর মাধ্যম। এখানকার কঠিন পুলিশি নিয়মাবলী সম্পর্কে আমাকে সতর্ক করলেন খোকন। ভর্তির ব্যাপরে যতোটা পারেন বলে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন। একটু পরই আমাদের দুজনের মাঝে বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেলো। কয়েকদিন পরই তার মাধ্যমে পরিচিত হলাম রন্জু, আহমেদ ভাই ও তার স্ত্রী ইরা ভাবীর সাথে।

এক শনিবারে খোকন আর রন্জু এলো আমার বাড়ীতে। প্রথম অতিথি সেবার জন্যে মুরগী রান্না করে রেখেছিলাম। তেলের পরিবর্তে ছিল সাদা ডালডা, ‘বিসকিন’। খাবারের বিবর্ণ, সাদা চেহারা দেখে চিমসে হয়ে গেলো রন্জুর মুখ। খোকনেরও দেখি একই অবস্থা।
- এইডা কি রানছেন হক সাব! খাওন যাইব না!
একেবারে চাছাছোলা কথা রন্জুর। খোকন কিছু না বলে রন্জুর কথাকেই সমর্থন জানালো। আমি আমার শুকনো চেহারা আরো বেশী শুকনো করে অপরাধীর মতো দাঁড়িয়ে রইলাম পাশে। যেহেতু আমার ঘরে প্রয়োজনীয় মশলা নেই, একটি বিশাল প্লাস্টিকের ব্যাগে (এখানকার নাম ট্যুটে) মুরগীশুদ্ধো পুরো ডেকচীটি পুরে ছুটলাম ওদের হোষ্টেলে। খোকন আরো মশলা আর টম্যাটো মিশিয়ে সে খাবারকে ভোজনযোগ্য করলো। মিউনিখে আসার পর এই প্রথম পেটপুরে খাওয়া হলো।

মিউনিখ ইউনিভার্সিটিতে গেলাম। ড: মুখা নামে এক ইহুদী ভদ্রলোক বিদেশী ছাত্রদের বিষয়গুলো দেখাশোনা করে থাকেন। তার ভেতরে খুব সহযোগিতার মনোভাব দেখে সাহস পেলাম। প্রথমে ওনি জার্মান কোর্সে ভর্তি হতে বললেন। আমার সার্টিফিকেট দেখে আমাকে জার্মান ভাষা শেখার পর ভার্সিটিতে ভর্তি করা হবে, তার একটি চিঠি দিলেন এখান বৈদেশিক দপ্তরের জন্যে। খোকন আমাকে সেই বৈদেশিক দপ্তরে নিয়ে গেলো। ওরা তিন মাসের ভিসা দিল। এর মাঝে স্পন্সর জোগাড় করতে হবে, সার্টিফিকেট গুলো ইংরেজী ও বাংলা থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করাতে হবে। হেলথ ইনশিওরেন্স জরুরী আর জার্মান শেখার স্কুলে ভর্তি হয়েছি ও নিয়মিত ক্লাশ করছি, তারও প্রমাণ দেখাতে হবে।

জার্মান ক্লাশের ফাঁকে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করতাম ভার্সিটির কাফেটেরিয়াতে। সেখানে পরিচয় হলো প্রভু মজুমদার ও শ্যমল কুমার মিত্র নামে দুই কোলকাতার পত্রিকা বিক্রির আগে এক ছাত্রপত্রিকা বিক্রির আগে এক ছাত্রবাঙ্গালী ছাত্রের সাথে। ওরা আমার সার্টিফিকেটগুলোর জার্মান অনুবাদ করে দিল। স্পন্সর দিলেন আমার এক বন্ধুর আমেরিকা প্রবাসী বড় ভাই। সব যোগাড় করে আবার গেলাম বৈদেশিক দপ্তরে। নামের আদ্যাক্ষর ধরে আমার দ্বায়িত্বে রইলেন হের ফ্রয়েন্ড নামে এক অফিসার। ফ্রয়েন্ড শব্দের অর্থ বন্ধু হলেও এই ভদ্রলোকের চরিত্র একেবারেই উল্টো। আমাকে অনেকবার ভুগিয়েছেন। সে ভোগানোর শুরু হলো এবারই। স্পন্সরের ভাষা তার পছন্দ হলোনা। আমাকে দু’মাসের সময় দিয়ে আবার নতুন করে করাতে বললেন। গভর্নর ফ্রান্স জোসেফ স্ট্রাউসের দেশ বাভারিয়া। ‘ফ্রাইস্টাড্ট্ বায়ার্ন! রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশীন দলগুলোর মাঝে সবচেয়ে দক্ষিণপন্থী দল সিএসউ। জার্মান রাষ্ট্রীয় আইনের বাইরেও তাদের দেয়া আইন রক্তচোখে ছড়ি ঘোরায়। বিদেশীদের তাদের করা এক একটি আইনের বাঁধা পেরুতে বারবারই খাবি খেতে হয়। আমাকেও খেতে হলো অনেকবারই।

একসময় একবছরের স্থায়ী ভিসা পেলাম। শুরুতে এই একবছরের স্থায়ীত্বই আমাদের মতো বিদেশীদের জন্যে স্বপ্নের মতো। দেড় বছর ধরে শহরে বন্দরে ঘোরাফেরা আমার। এই ঘোরাফেরা ও স্রোতে ভাসার মাঝে রোমাঞ্চ আর আনন্দ থাকলেও একটি স্থায়ী ঠিকানার জন্যে উন্মুখ থাকতো মন। দেশের এক একটি চিঠির জন্যে অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যেতাম। বাবা মা ও বন্ধু বান্ধবদের আমার নতুন ঠিকানা পাঠালাম। খোকন ও রন্জুর চেষ্টায় ওদের হোস্টেলেই ছ’মাসের জন্যে একটি কামরা পেয়ে গেলাম। ওদের সাথে মিলেই সন্ধ্যায় এখানকার সবচেয়ে নামী পত্রিকা ‘স্যুড্ডয়েচে সাইটুং’ বিক্রির কাজে যোগ দিলাম। শহরের একটি নির্দিষ্ট এলাকার রেষ্টুরেন্টগুলোত সাইকেলে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে হতো। দেশী বিদেশী মিলিয়ে প্রায় সবাই ছাত্র। শীত আর গ্রীষ্ম আসে ছন্দে ছন্দে। ধীরে ধীরে পা মেলালাম সে ছন্দে। আমার যাযাবর জীবনের পরিসমাপ্তিও সে নতুন জীবনের ছন্দপরিচয়ের মাঝেই ঘটলো।

শেষ


মন্তব্য

মফিজুল হক [অতিথি] এর ছবি

খুব ভাল লাগল আপনার সিরিজ।

এবার কি জার্মান জীবন নিয়ে সিরিজ লিখবেন?

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাদ! হয়তো লিখবো। তবে একটু সময় নিতে হবে। এ লেখাগুলোকে ঝাড়পোছ করে এবারের বইমেলায় প্রকাশ করার যোগ্য করে তোলাটাই হবে প্রথম কাজ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

দ্রোহী এর ছবি

যাযাবর জীবনের গল্প সিরিজটির সবগুলো পর্ব পড়া হয়ে উঠেনি। মনে হয় ৪ টি পর্ব পড়েছিলাম।

তীরুদা, পুরো সিরিজটা একটা পিডিএফ বানিয়ে আগামী কোন এক পোস্টে কিংবা এই পোস্টের তলায় জুড়ে দিতে পারেন। তাতে করে আমার মত অলসদের সুবিধে হত।

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাদ! একটু সময় নিয়ে পুরো লেখাটির পিডিএফও দেবো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

শেষটা অনেক স্বস্তিকর। তবে এ পর্বের লেখাটা আপনার প্রথম অতিথিসেবার জন্য তৈরীকৃত 'বিসকিন' মুরগির মত লাগলো মন খারাপ । একটু মশলা যদি দেয়া যায়, তবে আমিও রসনাতৃপ্ত হই।

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে! কি করবো ভাই। জীবনটাই 'বিসকিন' যেখানে, সেখানে মশলা পাবো কোথায়? জীবনতো এমনই হয়! কখনও সরস, কখনো একেবারেই নীরস!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

শাহীন হাসান এর ছবি

শীত আর গ্রীষ্ম আসে ছন্দে ছন্দে। ধীরে ধীরে পা মেলালাম সে ছন্দে। আমার যাযাবর জীবনের পরিসমাপ্তিও সে নতুন জীবনের ছন্দপরিচয়ের মাঝেই ঘটলো।
ভাল-লাগলো তীরুদা...।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

তীরন্দাজ এর ছবি

আন্তরিক ধন্যবাদ শাহীন! ভালো আছেন তো!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

কীর্তিনাশা এর ছবি

ঝট করে শেষ হয়ে গেল তীরু'দা। মনে হচ্ছে ভীষণ তাড়াহুড়োর মধ্যে লিখেছেন। যদিও এটা একান্তই আমার মতামত।

শেষে এসেও মনে অনেক প্রশ্ন থেকে গেল। সেগুলোর উত্তর এখন কই পাই মন খারাপ

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তীরন্দাজ এর ছবি

এটা আমার একটা ব্যারাম হবে হয়তো। তাড়াহুড়ো করি। যাহোক! প্রশ্ন থাকলে করুন, অবশ্যই দেবার চেষ্টা করবো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমার প্রশ্নগুলো নিচে মোরশেদ ভাই করে ফেলেছেন। আর তার উত্তরও আপনি দিয়ে দিয়েছেন। হাসি

অতএব আমি এখন আপনার জার্মানির জীবন নিয়ে লেখা সিরিজের অপেক্ষায় থাকলাম.......

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

শেষ বলে মানছিনা, এটা আপাতঃ শেষ বলে ধরে নিচ্ছি :)। আরো অনেক কিছু রয়ে গেছে আপনার ভান্ডারে।
জার্মানীতে কি করে সেটেল্ড হলেন, সেই সময়ের সমস্যাগুলো, এতো বছর পর ঐগুলোকে কিভাবে অনুভব করেন- এসব নিয়ে আরেকটা সিরিজ হয়ে যাক তীরু'দা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাদ হাসান মোরশেদ! হ্যা, আপাতত:ই শেষ। আশা করছি জার্মানীর জীবন নিয়ে আরেকটি পর্ব শুরু করবো। অনেক কিছুই লেখার আছে। তবে বইমেলায় প্রকাশ করার জন্যে এই অবধিই শেষ।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পুতুল এর ছবি

আমার কাছেও একটু সংক্ষিপ্ত মনে হল। যাক, আশা করি জার্মানের জীবন নিয়ে পরের সিরিজ শুরু হলে আরো অনেক অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতার স্বাদ পাব।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাদ পুতুল! সময় পেলেই শুরু করবো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মূলত পাঠক এর ছবি

এই পর্বটা তুলনামূলক ভাবে কিছুটা সাদামাটা লাগলো, এমন রোমাঞ্চকর অভিযানের শেষটা ঘটনার সুবাদে না হোক অন্য কোনো ভাবে আরো এক্সাইটিং হলে আরো ভালো লাগতো। তবে আপনি তো বলেইছেন গ্রন্থাকারে প্রকাশের আগে ঘষামাজা করবেন। আশা করছি শেষমেশ প্রডাক্টটা আরো চমৎকার হয়ে উঠবে।

ভালো থাকুন।

তীরন্দাজ এর ছবি

শ্বাসরূদ্ধকর ঘটনাপ্রবাহের পর এমনি এক স্বাভাবিকতা ফিরে তো আসবেই! না হলে তো এতোদিনে কোথায় হাওয়া হয়ে যেতাম! আশা করছি, পুরো বইয়ে একসাথে পড়লে এরকম মনে হবে না।

তবে ঘাষামাজা করবো। আপনার ছবির জন্যে আবারো অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সিরাত এর ছবি

খাঁটি মহাভারতীয় অভিজ্ঞতা যাকে বলে; পাকিস্তানি-ভারতীয় সবাই তো আপনাকে দারুন সাহায্য করেছিল।

কি একখান জীবনই না আপনার! কষ্টও সেরকম হয়েছে নিশ্চয়ই, তাই হিংসা করছি না। চোখ টিপি

ভাল লাগলো!

তীরন্দাজ এর ছবি

মহাভারতীয় অভিজ্ঞতা! বেশ মজার বলেছেন! ভালো থাকবেন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

কনফুসিয়াস এর ছবি

একটা ই-বুক বা পিডিএফ চাই।
আমি সিরিজ পড়তে পারি না, অস্থির লাগে। এ জন্যে অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছি আপনার এটা কবে শেষ হবে। হাসি
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

তীরন্দাজ এর ছবি

পিডিএফ দেবো। অন্ততপক্ষে আপনার জন্যে হলেও।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আমি পিডিএফ চাই না। প্রতি পর্ব শুরু থেকে পড়ার সময় সন্ধানে আছি। একদিন একটানা পড়ে ফেলবো ঃ)

সাইফ এর ছবি

খুবই উত্তেজনার সাথে পড়ছিলাম আপনার সিরিজ, শেষ পর্ব এমনভাবে শেষ হল যে কি বলব! মনে হল দৌড়াচ্ছিলাম, কাচের দেওয়ালে বাড়ি খেয়ে পরা ধরাশায়ী, আর লেখাটা শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আমার মাথা ভোঁ ভোঁ করছে। PDF হাতে পেলেই আপনার তীরের ন্যায় ধারালো লেখা পড়ানো শুরু করবো সবাইকে। আপনি গুরু গুরু

আর প্রতিক্ষায় থাকবো আপনার পরবর্তি জীবনের গল্প শোনার জন্য

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সাইফ! আরো অনেক কিছু লেখার ইচ্ছে আছে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সাইফ এর ছবি

টাউন হলের ছবিটাতে চরম মাত্রার fish eye লেন্সের ব্যবহার দেখে মজা লাগলো। পাঠকদাকেও অভিনন্দন স্কেচের জন্য, দুটোই অসাধারাণ

মূলত পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ সাইফ।

সাইফ এর ছবি

পাঠকদা কি আগের জন্মে সত্যজিত রায়ের জন্য স্কেচ করতেন নাকি? আসাধারণ আপনার কাজ !!

মূলত পাঠক এর ছবি

প্রশংসা পেতে তো ভালোই লাগে কিন্তু এমন হলে যে হজমোলা দিয়েও হজম করা যায় না রে ভাই। তাও ধন্যবাদ জানাই, এই প্রশংসাকে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বুঝে।

চলেন এইবার লেখায় কনসেন্ট্রেট করি। আমারটা তো তবলা ঠেকা।

মুস্তাফিজ এর ছবি

দেখতে দেখতে স্থায়ী হলেন, ভালো লাগলো, তারপরও স্বার্থপরের মত বলতে হয় কেন যে স্থায়ী হলেন (আরো কিছুদিন ঘুরলে আরো কিছু লেখা পেতাম)!!

বইয়ের কথা শুনে ভালো লাগলো, আপনার যদি পছন্দ না থেকে থাকে তাহলে জানাবেন, একটা প্রচ্ছদ করে দেব, ভালো লাগলে রেখে দেবেন।

...........................
Every Picture Tells a Story

তীরন্দাজ এর ছবি

ঘোরার আরো অনেক কাহিনী লেখার আছে। তবে সেগুলোর মাঝে তো জীবনযুদ্ধ
নেই, আছে সাধ, আহল্লাদ মেটানোর প্রয়াস। সেগুলো অবশ্যই অন্যরকম।

আপনি প্রচ্ছদ করলে খুবই খুশী হবো। আমার নিজের এখন অবধি কোন পছন্দ নেই।
করুন না একটা, আমিই অনুরোধ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মুস্তাফিজ এর ছবি

আরেকটা জিনিষ খেয়াল করলাম, ছবিটা, খুব সুন্দর, ইতালী যাবার সময় ফাঁকতালে মিউনিখে দু ঘণ্টার যাত্রা বিরতীতে সম্ভবত সেখানেই এসে কিছু সময় কাটিয়েছিলাম, ওরা এটাকে Marien Platz বলেনা?

...........................
Every Picture Tells a Story

তীরন্দাজ এর ছবি

হ্যা, এটাই মারিয়েন প্লাটস্ । তবে ছবিটি কিন্তু আমার তোলা হয়। ইন্টারনেট থেকে নিয়েছি। বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। আমার এরকম ছবি তোলার সাধ্য হবে?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ধুসর গোধূলি এর ছবি

-মিউনিখ, মিউনিখ, তীরুদার মিউনিখ। যাবো যাবো করছি সেই ছোটবেলা থেকে। যাওয়া হয়ে উঠলো না আজও!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তীরন্দাজ এর ছবি

ধুর মিয়া! কতোবার কইছি... আইয়া পরেন! খবরই নাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ধুগো এখনো বড়ো হয় নাই, তীরুদা। চোখ টিপি
আগে তো বড়ো হোক।
এবার তাহলে আপনার নতুন গল্প শুরু হোক। হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

দময়ন্তী এর ছবি

এই সিরিজটা অসা আ আ ধারণ ৷
ই-বুক কিম্বা পি ডি এফের জন্য অপেক্ষায় রইলাম৷
---------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সচলের পুরানো সিরিজগুলি এক এক করে আবার পড়তে শুরু করেছি।

আপনার জাহাজী জীবনের যাযাবর গল্প বই এর থেকেও ব্লগে পড়তে বেশি মজা হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।